মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪২ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ইফতারের আয়োজন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ক্রেমলিন-নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়ায় সংখ্যালঘু মুসলিম তাতার সম্প্রদায়ের প্রতি রাশিয়ার আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন।

শুক্রবার রাজধানী কিয়েভে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ইফতারের আয়োজন করেন তিনি। সেখানে তিনি রাশিয়ার কাছ থেকে ক্রিমিয়া পুনর্দখলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

২০১৪ সালে কৃষ্ণসাগরের ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয় রাশিয়া। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালে দেশটি গণভোটের আয়োজন করে। ওই গণভোটে রুশ বাহিনীর দখলে থাকা ইউক্রেনের চার অঞ্চলের অধিকাংশ বাসিন্দা রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে রায় দেন।

জেলেনস্কি ইউক্রেনের মুসলিম নেতা ও মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের বলেন, ক্রিমিয়া দখলের সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়া ইউক্রেনকে দাস বানানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে। রাশিয়া ক্রিমিয়ার বাসিন্দা, ইউক্রেনীয় ও ক্রিমিয়ার তাতার জনগোষ্ঠীর ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে।

ক্রিমিয়ার ২০ লাখ জনগোষ্ঠীর ১২ থেকে ১৫ শতাংশ তাতার সম্প্রদায়। ২০১৪ সালের ভোট এ জনগোষ্ঠী বয়কট করেছিল।

ক্রিমিয়ার তাতার মুসলিম সংখ্যালঘুদের ঐতিহ্যবাহী সমাবেশ মেজিসকে সেই সময় নিষিদ্ধ করে মস্কো। মেজিসকে চরমপন্থি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। নিরাপত্তার কথা বলে বেশ কয়েক সদস্যকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ইউক্রেনের বেশ কয়েক মুসলিম সেনাসদস্যকে পুরস্কৃত করার পর জেলেনস্কি বলেন, ‘ক্রিমিয়া দখলমুক্ত করা ছাড়া ইউক্রেন বা বিশ্বের কাছে আর কোনো বিকল্প নেই। আমরা ক্রিমিয়ায় ফিরে যাব।’

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে মসজিদের বাইরে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন প্রথমবারের মতো ইফতার আয়োজন শুরু করল। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন আমাদের দেশের মুসলিম ও বিশ্বের মুসলিমদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখতে চেয়েছে তুরস্ক, সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ। কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শস্য রপ্তানি ও বন্দী বিনিময় ইস্যুতে চুক্তিতে পৌঁছাতে এ দেশগুলো মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছে।

রাশিয়ায় চেচনিয়া ও দাগেস্তানের মতো দক্ষিণাঞ্চলীয় অঞ্চল থেকে আসা বড় ধরনের মুসলিম সম্প্রদায় রয়েছে। তাদের অনেকেই ইউক্রেনে মস্কোর হয়ে লড়াই করছেন।

সূত্র: ইউরো নিউজ

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION